Sunday, May 10, 2015

Indrajal comics: NEW RESEARCH & book review on bishoy cartoon


কেমন আছেন বন্ধুরা?

বহুদিন পর আজ আবার ইন্দ্রজাল নিয়ে পোস্ট...পাঠকদের হয়ত খেয়াল আছে আমি শেষ ইন্দ্রজাল দিয়েছিলাম ২০১৩ তে (৩১০ ও ৩২৬)...অর্থাৎ  বছর দেড়েক আগে। তারপর ইন্দ্রজাল কমিকস তো দেওয়া দূরের কথা, ইন্দ্রজাল নিয়ে কোনো আলোচনা পর্যন্ত এ ব্লগে হয়নি।

আজ বহুদিন পর একটি গবেষণা সংক্রান্ত আলোচনা আমার পাঠকদের সঙ্গে করতে চাই...ইন্দ্রজাল কমিকস এর একটি সম্পূর্ণ তথ্যমূলক গবেষণা।
A complete research work on indrajal comics(informational). The topics of the research work are:

  1. A complete & new list of Bengali indrajal comics(not devil's list)
  2. no. of individual stories of every heroes
  3. no. of repeated stories
  4. story of every issue(in brief).their eng & hindi titles
  5. translators of Bengali issues..if possible hindi issues also..
  6. prints run & paid circulation of every issue(in average if possible)
 এবারে একটু উপরের পয়েন্টগুলি নিয়ে আলোচনা করা যাক:

১. ইন্দ্রজাল কমিকসের সম্পূর্ণ নতুন লিস্ট: আমরা সবাই জানি যে ইন্দ্রজালের বেশীরভাগ কমিকস ই মূলত বিদেশী কমিকস স্ট্রিপ বা বই (comic strip or comic book) থেকে নেওয়া। আবার এই কমিকসগুলি বিভিন্ন বিদেশী শিল্পীর আঁকা, ইন্দ্রজালের প্রচ্ছদ শিল্পীও ছিলেন অনেকেই।প্রত্যেক সংখ্যায় এই শিল্পীদের signature থাকতো না। তাই বিশেষজ্ঞদের সাহায্য ছাড়া এই প্রজেক্ট সম্পূর্ণ করা হয়ত সম্ভবপর নয়।বর্তমান তালিকাটি এইরূপ: ৮টি column- 1.issue no. 2. name. 3. original strip or comics. 4. runtime of the original strip(if book,publishing time of the book). 5. published in indrajal. 6.hero. 7.extra comics & others. 8. cover artist & comic artist.
for example, Bengali issue no.1  লাল জাদুকরীর রহস্য was taken from phantom sunday strip S016 THE SCARLET SORCERESS(column 3) that ran from 11.08.1946-22.12.1946(column 4) published in indrajal- January 1966(column 5).hero- phantom. other ads or comics(column 7). cover artist?comic artist Ray Moore(column 8).

আবার ইন্দ্রজাল কমিকস বাংলা সংখ্যা ৬ বেতালের মায়াজাল সংখ্যাটি gk12 (gold key phantom issue no.12 THE BEAST OF BENGALI, June 1965) থেকে নেওয়া। কমিকস শিল্পী Bill Lignate. ইন্দ্রজালে সংখ্যাটি প্রকাশিত হয় মূল কমিকসের ঠিক এক বছর পর, জুন ১৯৬৬ তে।





মূল কমিকস  নিয়ে আরও বিস্তৃত আলোচনা করার আছে।  কিন্তু এখন শুধু  এটুকুই  আলোচনা করলাম। একসাথে সব দিলে হয়ত সম্পূর্ণ research paper এখানেই তৈরী হয়ে যাবে!

২. প্রত্যেক নায়কের আলাদা করে গল্পের সংখ্যা: ইন্দ্রজালে বেশ কিছু গল্প পুনরায় ছাপা হয়েছিল, বিশেষ করে খন্ড ২৪-২৬ এর মধ্যে। এগুলি বাদ দিতে হবে। এছাড়াও প্রথমের দিকে বেশ কিছু সংখ্যায় এবং ৩০০- খন্ড সংখ্যার অনেকগুলিতেই দুটি বা তিনটি করে গল্প ছিল। সেই প্রত্যেকগল্প গুলো আলাদা করে ধরতে হবে।

৩. ইন্দ্রজালে প্রকাশিত (পুনরায়) গল্পের সংখ্যা: ধরা যাক বেতালের ৪০০টি গল্প সবমিলিয়ে ইন্দ্রজালে প্রকাশিত হয়েছিল। তার মধ্যে ৪০ টি পুনরায় ছাপা হয়েছে। এই ৪০টার মধ্যে ২৫টি গল্পে উল্লেখ করা আছে যে গল্পটি আগে কোন সালে বা তারিখে প্রকাশিত হয়েছিল। বাকি ১৫টির উল্লেখ করা নেই। যেমন, সংখ্যা ৪৫ (সাগরদেব) পুনরায় প্রকাশিত হয়েছিল খন্ড ২১ এ। অথচ তার উল্লেখ ইন্দ্রজালে করা নেই। ব্যাপারটা অনেকটা "For those who came late" বা "যারা দেরী করে এসেছে, তাদের জন্য।"

 ৪. প্রত্যেক সংখ্যার গল্প ছোট করে লেখা: ওপরে কভার ছবি দিয়ে সেই সংখ্যার গল্প নিয়ে সামান্য কিছু লেখা। অনেকেরই সব ইন্দ্রজালের গল্প পড়া নয়। যেহেতু ২৩টি ইন্দ্রজাল বাংলায় বেরোয়নি (eng ১-২২ ও eng ৩৮০) তাই প্রত্যেক বাংলা সংখ্যার eng ও হিন্দী নাম উল্লেখ করা, সাথে একটি আলাদা তালিকায় ওই ২৩টি অপ্রকাশিত ইন্দ্রজালের eng ও হিন্দি নামের উল্লেখ করা। একইসঙ্গে যদি সেই সংখ্যার অনুবাদকের নাম  ও  circulation  details জানতে পারা যায় তাহলে সেখানে উল্লেখ করা(points 5 & 6).

আরও একটি জিনিস অনেকেই হয়ত লক্ষ্য করেছেন, ইন্দ্রজালে কমিকসের শুরুতে একদম প্রথম পাতায় একটি আলাদা প্যানেল করে সেখানে ছবি ও ক্যালিগ্রাফি করা হত। এটি কোন শিল্পী করতেন?

বাংলা,eng ও হিন্দি প্রত্যেক cover এ আলাদা করে কেউ ক্যালিগ্রাফি করতেন বলে মনে হয়। কারণ, একই শিল্পী তিন বা তার বেশি কভার 
 ক্যালিগ্রাফি করতে পারবেন বলে মনে হয় না- ব্যাপারটা আমার কাছে অবিশ্বাস্য।

বেশ কিছু daily স্ট্রিপ থেকে ইন্দ্রজাল কমিকস নেওয়া হয়েছিল। daily strip গুলি হত সাদা-কালো। তাহলে ইন্দ্রজালে কে রঙিন করতেন?


 আরও প্রশ্ন আছে,আজ আর করলাম না। প্রশ্নের পাহাড় করে এখনই সব পাঠককে বিব্রত করতে চাই না।

ইন্দ্রজালের এই নতুন গবেষণাটি করছি আমি আর ইন্দ্রদা, চেষ্টা করব সমস্ত তথ্য জোগাড় করার। একইসঙ্গে পাঠকদের কাছে আবেদন জানাই, আপনারা যে কেউ আমাদের এই গবেষণায় সাহায্য করতে পারেন।আমাদের ইচ্ছে আছে ভবিষ্যতে আমাদের এই গবেষণাটি বই বা ম্যাগাজিন আকারে প্রকাশ করা। আপনারা যদি কেউ সাহায্য করেন,তাহলে আমরা তো অবশ্যই কৃতজ্ঞ থাকব, তার সঙ্গে একথাও দিচ্ছি যে আপনারা যেখানে যেরকম সাহায্য করবেন সেখানে আপনাদের নাম উল্লেখ থাকবে। ঠিক যেরকমভাবে আমরা ব্লগে কারোর সাহায্য নিলে উল্লেখ করে থাকি,ঠিক সেইভাবে। asking all the readers for help. we will be glad & very much thankful to you guys whoever can help us with our new project. also, your names will be mentioned in the specific parts where u help(in the magazine),just like we mention in the blogs.

asking all the senior indrajal bloggers also to come forward & help us..guys like ms,ranjanda(ranjan dutta), devil, tph,icc,tcp & others..

**********************************************************************************
এবার আসি book-review এর ব্যাপারে। আপনারা অনেকেই হয়তো বিশ্বদেব গঙ্গোপাধ্যায় সম্পাদিত বিষয় কার্টুন পত্রিকার খবর রাখেন।
সম্প্রতি প্রতুল বন্দোপাধ্যায় এর ওপর একটি বিষয় কার্টুন সংখ্যা প্রকাশিত হয়েছে। এই বইয়ের আকর্ষণীয় কিছু জিনিস আপনাদের সামনে তুলে ধরতে চাই।






প্রথমেই বলি আমার পছন্দের লেখাগুলির ব্যাপারে।ইন্দ্রদার লেখাটা সাধারণ হলেও লেখাটা অতন্ত্য উন্নত মানের। আর উন্নত মানের লেখা আমাদের সবারই ভালো লাগে। আশা করি আপনারা সবাই আমার সঙ্গে একমত।


ইন্দ্রদার লেখাটা সম্পূর্ণ পড়তে চান? বেশ তো...এখানে পেয়ে যাবেন। এছাড়া আমার যে লেখাগুলো ভালো লেগেছে তার মধ্যে সৈকতদার লেখা(সৈকত শোভন পাল) অন্যতম। সৈকতদা লিখেছে প্রতুলবাবুর আঁকার বিভিন্ন দিক নিয়ে। লেখাটি তথ্যমূলক না হলেও পড়তে ভালো লাগবে, কারণ সৈকতদা লিখেছে প্রতুলবাবুর আঁকার প্রতি তার নিজস্ব অনুভূতি নিয়ে।


এছাড়াও আমার ভালো লেগেছে দেবাশিস গুপ্ত ও বিশ্বদেব বাবুর লেখা। সত্যি কথা বলতে গেলে এই সংখ্যার প্রত্যেকটি লেখাই অতুলনীয়।


এছাড়াও রয়েছে নারায়ণ দেবনাথ এর লেখা, প্রতুল বন্দোপাধ্যায়ের রচনার তালিকা(bibliography), ওনার নিজের বেশ কিছু রচনা যা কালের তলায় হারিয়ে যাবার উপক্রম হয়েছিল। নিজস্ব রচনাগুলির মধ্যে আমার সবথেকে ভালো লেগেছে হারিয়ে যাওয়া বৈজ্ঞানিক ও ব্যোম ভোলানাথ এই দুটি রচনা-উভয়ই বিজ্ঞানভিত্তিক। প্রথমটি রুডলফ ডিসেল কে নিয়ে,দ্বিতীয়টি জন ওয়াকারকে নিয়ে। এতে বোঝা যায় প্রতুলচন্দ্র বিজ্ঞানচর্চাও করতেন।এছাড়াও নিজের হাতে transistor কিভাবে তৈরী করতে হয় সেটা নিয়েও উনি লিখেছিলেন শুকতারাতে। 
পোস্টটা বিশাল বড় হয়ে যাচ্ছে, তাই বাধ্য হয়ে সব কথা এবারে লিখতে পারলাম না। তবে যেটা না বললেই নয়, বইটির সবচেয়ে বেশি আকর্ষণীয় বস্তু হলো ২৪ পাতা ধরে প্রতুলচন্দ্রের আঁকা বিবিধ রঙিন প্রচ্ছদ ও অলংকরণ। এতেই শেষ নয়, শেষ ৪০ পাতা জুড়ে রয়েছে প্রতুলবাবুর আঁকা,সবকটি আঁকাই চোখ জুড়ানো।


 
***********************************************************************************
সঙ্গে পাঠকদের জন্য রইল ১৯৮৫ সালের রোভার্স: রোভার্সের রয় 1985am
৩০.১০.১৯৮৫ ও ১৩.১১.১৯৮৫'র মধ্যবর্তী ছবি(ডিক্সন ও গাথরির ঝগড়া!)

পাঠকদের জানিয়ে রাখি, রয় পায়ে চোট পেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েছিল। তাই নিজেকে সে পরিবর্ত খেলোয়াড় হিসেবে নিজের দলে রাখে। আবার, অদ্ভুতভাবে রয় ওর আহত বা পায়েই গোল করতে সক্ষম হয়। 

 Next research topic: PHANTOM-ADAPTATIONS!