Monday, November 26, 2018

বেতাল- পৃথিবীর রক্ষক( S139- How Phantom Saved the Earth)

ফেসবুকের কিছু জটিলতার জন্য আমার পুরোনো ব্লগ THE RETURN OF INDRAJAL COMICS!!! কে একটা নতুন ঠিকানা দিতে বাধ্য হলাম, জন্ম নিলো "বাংলা কমিক্সের আড্ডাঘর"(http://vintagebengalicomics.blogspot.in) .তবে সব পাঠকদের আস্বস্ত করতে পারি, আমার পুরোনো ব্লগের সব পোস্ট এখানেই পাবেন। যেমন ছিল তেমন। ব্লগের ঠিকানা বা নাম কোনওটাই না পাল্টাতে চাইলেও উপায় ছিল না, কারণ যারা আমার ব্লগের পুরোনো পাঠক তারা জানেন মাঝে আমার ব্লগে বছর দুয়েক কোনো পোস্ট ছিল না। ফলে আমার ব্লগের দর্শক সংখ্যা কমে যায় অনেক। চেষ্টা করেছিলাম আগের মতন দর্শক পাওয়ার, ফেসবুকের জন্য তা কিছুটা সম্ভবও হয়েছিল। আবার ফেসবুকের জন্যই ব্লগের ঠিকানা পাল্টে ফেলতে হলো, কারণ ব্লগের লিংক আমি শেয়ার করতে পারছিলাম না। সঠিক কারণ আজও জানতে পারিনি, ইন্টারনেটে দেখলাম আমার মতন অনেকেরই এরকম সমস্যা হয়েছে, তারাও ঠিক solution পাননি, আবার কেউ বা হয়তো পেয়েছেন। শেষের দিকে আমার ব্লগের দর্শকসংখ্যা একদম তলানিতে এসে ঠেকেছিল(গড়ে ৫০০ থেকে কমে ১৫০). তাই অগত্যা এটা করলাম। পুরোনো ব্লগে আপাতত পোস্ট বন্ধ, তবে ব্লগ খোলা আছে এবং তার নতুন ঠিকানাও দেওয়া আছে সেখানে।

যাই হোক, আসি মূল পোস্টে। আজ দর্শকবন্ধুদের শোনাবো মজদাদুর কথায় দুই গল্প, প্রথম গল্পটি কিছু বন্ধু আগে হয়তো পড়েছেন, দ্বিতীয়টি অনেকেরই হয়তো পড়া নয়।


 এই গল্পে অগ্নি, জল, এবং বায়ু দেবতা পৃথিবীকে ধ্বংস করতে চান।  কেন?



কিন্তু পৃথিবীর দেবী তা চাইলেন না। তিনি মনে করলেন মানুষের মধ্যে এখনো কিছু ভালো আছে।


ভালোর যাচাই করার জন্য বেতালকে বেছে নেওয়া হলো। একে একে তার পরীক্ষা নিলেন সব দেব-দেবীরাই।


বেতাল কি পারলো এই দেবতাদের বিচিত্র সব পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে? সেকি পারবে পৃথিবীকে বাঁচাতে?
পড়ুন বেতাল- পৃথিবীর রক্ষক( S139- How Phantom Saved the Earth)

বেতালের এই গল্পটি বাচ্চাদের গল্পের মতন করে বলা হলেও এর মধ্যে যে রূঢ় বাস্তব লুকিয়ে আছে, তা আমরা সবাই বুঝতে পারছি। লি ফক কত বছর আগে সেই জিনিস উপলব্ধি করতে পেরেছিলেন। গল্পটি ছোটবেলায় আমার মতন যারা পড়েছিলেন, তারাও হয়তো বুঝতে পারেননি এই গল্পের আড়ালে বাস্তবতার ছোঁয়া। তবে আজ নিশ্চয় পারবেন।

ডাউনলোড ফাইলের ভিতরে সুন্দর এই ছবিটি পাবেন


ছবিটি একটি বিদেশী ফ্যান্টমের কমিক্স থেকে নেওয়া। মূল ছবিটি ছিল সাদা-কালো, পরে রঙিন করেছি আমি নিজে। ক্যালিগ্রাফি- পার্থ অরণ্যদেব মুখার্জী (http://onubadcomic.blogspot.com/)
সম্পূর্ণ অবাণিজ্যিকভাবে এই প্রচ্ছদটি করা।

কেমন লাগলো জানাতে ভুলবেন না। পরের পোস্টে আবার হাজির হব "রোভার্সের রয়" কে নিয়ে। 

Tuesday, November 6, 2018

DIWALI SPECIAL 2018(01)- A TRIBUTE TO THE LEGEND- MAYUKH CHOUDHURY

গত অক্টোবর মাসের ৩০ তারিখ আমি আর ইন্দ্রনাথ দা আলোচনা করছিলাম ব্লগে কি দেওয়া যায়। ঐদিন ১৯৯৬ সালে ময়ূখ চৌধুরী আমাদের সকলকেই প্রায় না জানিয়ে চলে যান। সময়ের অভাবে আমি ঠিক পোস্ট করে উঠতে পারিনি। এছাড়াও ইচ্ছে ছিল ময়ূখ চৌধুরীর কমিক্স "পদক্ষেপ" দেওয়ার। কিন্তু কিশোর ভারতীতে ধারাবাহিক ভাবে প্রকাশিত ঐ কমিক্সের মাত্র একটি সংখ্যা আমার কাছে না থাকার জন্য এই মুহূর্তে সেটি দিতে পারছি না।  তাই আপাতত ময়ূখ চৌধুরীর যে কটি কমিক্স আমার স্ক্যান করা রয়েছে, সেগুলোই ব্লগে দিলাম।

ময়ূখ চৌধুরী তার দীর্ঘ ৩০ বছরের কর্মজীবনে(১৯৬২-১৯৯৩/৯৪) ৭০টিরও বেশি কমিক্স, হাজারেরও বেশি অলঙ্করণ(নিজের এবং অন্যান্য লেখকের গল্পে ) করেছেন। কিছু প্রবন্ধ এবং ২টি কবিতাও লিখেছিলেন। গল্প এবং কমিক্স দু-ক্ষেত্রেই তিনি ব্যবহার করতেন dramatic narration, বিশেষত অ্যাকশনধর্মী ঘটনার ক্ষেত্রে ওনার সেই সংলাপ এবং তার সঙ্গে গতিময় ছবির দৃশ্য- এ জুড়ীর মেলা ভার। হাতের লেখাও ছিল খুব সুন্দর, এবং অসামান্য ক্যালিগ্রাফিক নামাঙ্কন করতে পারতেন। তার সব কমিক্সই এখন বই আকারে পাওয়া যাচ্ছে লালমাটির কমিক্স সমগ্রে (যদিও কিছু কমিক্স রচনাসমগ্রে রাখা হয়েছে) ।
অধিকাংশ কমিক্সের সংকলন ও সম্পাদনা করেছিল শান্তনু দা( শান্তনু ঘোষ), যার গবেষণাধর্মী লেখা পরে আমার অতন্ত্য কৌতূহলের সৃষ্টি হয়। সেই গবেষণার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন বিষয় কার্টুন পত্রিকার সম্পাদক বিশ্বদেব গঙ্গোপাধ্যায় এবং আরও অনেকে। তাই ময়ূখ চৌধুরী নিয়ে যে কেউ পড়াশোনা করতে চাইলে তার কাছে এই বইটি থাকা অতি আবশ্যক। বই তো বটেই, ইন্দ্রনাথদার সৌজন্যে ব্লগেও ময়ূখ চৌধুরীর ২৬টি কমিক্স চলে এসেছে। আমার এবং ইন্দ্রদার সংকলনে ও শান্তনুদার সম্পাদনায় বুক ফার্ম থেকে প্রকাশিত হয়েছে ময়ূখ চৌধুরীর দুটি কমিক্সের বই, একটি গল্পের বই, এবং একটি শিকার গল্প সংকলন(ময়ূখ চৌধুরী অলংকৃত)।


বুক ফার্ম থেকে বই আকারে ময়ূখ চৌধুরীর নিচের কমিক্সগুলি পাওয়া যাচ্ছে:

(১) রহস্য গোয়েন্দা গ্রাফিক নভেল- গুপ্তধনের সন্ধানে
(২) দুর্ধর্ষ কমিক্স:আছে- ঋণশোধ, পেক্কা, মবগো, বনবাসী বন্ধু, ফাঁদ, চফু-মায়া, সাক্ষী ছিল চাঁদ, দ্বৈরথ(অরণ্যগর্ভে ও সমুদ্রবক্ষে)

ইন্দ্রনাথদার ব্লগে আপাতত যেগুলো পাওয়া যাচ্ছে:

  • খাপে ঢাকা তরবার ও রক্তমাখা চাঁদ 
  • মৃত্যুহীন প্রাণ 
  • অন্ধ মাকড়সা
  • রক্তাক্ত মানচিত্র 
  • রূপকথা নয় 
  • দুরন্ত কাহিনী 
  • আগন্তুক 
  • আমি আগন্তুক 
  • রবিনহুড(কালো সাপ ও বিভ্রান্ত রবিনহুড) 
  • জলদস্যুর কবলে রবিনহুড 
  • বুদ্ধির যুদ্ধে রবিনহুড 
  • নায়ক যখন রবিনহুড(শেরউড বনের অতিথি ও শেরউড বনে গুপ্তচর)
  • রামধনুর সন্ধানে 
  • বন্ধু 
  • মুক্তি পেলো রতনলাল 
  • ইতিহাসে পলাতক(পলাতক বই থেকে)
  • প্রান্তরে মৃত্যুর হানা(নরকের প্রহরী বই থেকে)
এছাড়া রোমাঞ্চকর কমিক্স ও এডভেঞ্চার কমিক্স(সংকলন গ্রন্থ) পাবেন ইন্দ্রদার ব্লগে। ইতিহাসে অস্ত্র সিরিজও দেওয়া আছে, কিন্তু আমার মতে ইতিহাসে অস্ত্র ঠিক কমিক্সের পর্যায়ে পরে না। এটিকে শুধু ছবিতে গল্প  বা ছবিতে ইতিহাস বললে ভালো হয়, কারণ এখানে ছবির সাহায্যে ঠিক ঘটনাক্রম বোঝানো হচ্ছে না।

প্রসঙ্গত জানাই, ইতিহাসে পলাতক প্রথমে প্রকাশিত হয় সন্দেশে ১৩৮২তে, ৮টি কমিক্স নিয়ে। পলাতক বইটির প্রথম সংস্করণে(নির্মল কর্তৃক ১৩৮৩/৮৪ তে ) ৮টি কমিক্সই ছিল, পরের সংস্করণগুলিতে কোনো কারণে শেষের কমিক্সটি বাদ পরে যায়, অর্থাৎ ৮টি কমিক্সের জায়গায় ৭টি কমিক্স। এখানে সেই মিসিং দু'পাতার ইতিহাসে পলাতকের কমিক্সটি দিলাম:



ময়ূখ চৌধুরীর "আমি আগন্তুক" কমিক্সটির sequel হল "বৈশাখী পূর্ণিমা রাতে"। চন্দ্রগুপ্ত মৌর্যকে নিয়ে ময়ূখের আরও দুটি কমিক্স "ছদ্মবেশী" এবং "রাজকুমারের অসি"।




পড়ুন বৈশাখী পূর্ণিমা রাতেছদ্মবেশীরাজকুমারের অসি 

ময়ূখ চৌধুরীর বঙ্গদেশের রঙ্গ কমিক্সটি সব পাঠকই পছন্দ করেন:

পড়ুন বঙ্গদেশের রঙ্গ 

এছাড়াও রইলো কিশোর ভারতীতে প্রকাশিত ময়ূখ চৌধুরীর টানটান উত্তেজনাময় কমিক্স:


পড়ুন শিকার

না, এতেই শেষ নয়... 


পড়ুন নায়কের মৃত্যু নেই 

সকল দর্শকবন্ধুকে জানাই কালীপুজো ও দীপাবলির অনেক শুভেচ্ছা। সবে পটকা ফাটানো শুরু...কাল আরও ফাটাবো।

বিঃদ্রঃ লালমাটি রচনাসমগ্র ৩ এ পাবেন অধ্যাপক ত্রিবেদী সিরিজের সব কটি কমিক্স এবং অপরাধী কে সিরিজের ৯টি কমিক্স। পুরোনো বন্ধু সাগ্নিক ঘোষের ব্লগ dara indrajal (THE LOST WORLD) এ পাবেন শয়তানের দ্বীপ কমিক্সটি তিন ভাষায়(বাংলা, ইংরেজি এবং পর্তুগিজ ভাষায়) । স্মারক এবং যাত্রী খুব শীঘ্র ইন্দ্রদা ব্লগে দেবে আশা রাখি।